কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র পূর্বপাড়ের উপজেলা রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় তিন ধরে পানিবন্দি এসব মানুষদের রান্নার চুলাও ডুবে গেছে। এতে না খেয়ে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে তাদের। এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে একমুঠো ত্রানের চাল বা শুকনো খাবার বিতরণ করেনি কেউ।
গত শুক্রবার সকাল থেকে রবিবার বিকেল পযর্ন্ত ভাঙ্গা বেঁরীবাঁধ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম। বিশেষ করে দাঁতভাঙ্গা ও চরলমারী ও বন্দবেড় ইউনিয়নে বানবাসী মানুষদের ঘরে খাবার না থাকায় বিপদে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বানবাসী মানুষ তুলনামূলক উঁচু জায়গার সন্ধান করছেন। এদিকে গো খাদ্যের সংকট নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষজন। গরুসহ গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে তারা। এছাড়া ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির ফসল। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ওঠেছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও ভবনগুলোর ক্ষতি হচ্ছে।
দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ছামছুল হক জানান, চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত ত্রাণ বা শুকোন খাবার পাওয়া যায়নি। ত্রাণ বরাদ্দ হলে দ্রুত তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, ফসলি জমিগুলো ঘন্টায় ঘন্টায় বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান বলেন, ‘আগামী সোমবার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক ডেকেছি।’